নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকায় শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুজা শুরু হওয়ার ১০ দিন পূর্ব থেকে বিসর্জন ও শান্তিবাড়ি সিঞ্চন পর্যন্ত নিরাপত্তার কাজ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) শ্রীমঙ্গল সেক্টর ও ৪৬ ব্যাটালিয়ান।ফলশ্রুতিতে সারা দেশের সাথে মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকায়ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হযেছে শারদীয় দুর্গাপূজা।
বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক জামাল হোসেন জানান, পূজা শুরু হওয়ার আগে যখন প্রতিমা প্রস্তুতি চলছিল তখেন থেকেই বিজিবির পক্ষ থেকে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়।
তিনি জানান, এসব এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ শ্রীমঙ্গল সদর সেক্টর সেক্টর কমান্ডার, কর্নেল এ এইচ এম ইয়াসীন চৌধুরী, পিএইচডি ও শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার।
কমলগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীত রঞ্জন দেব নাথ বলেন, এ বছর কমলগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিজিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখের পড়ার মতো। তিনি বলেন, ১৩ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ কমলগ৪ উপজেলার অন্তর্গত ইসলামপুর ইউনিয়নের পূজা মন্ডপ সমূহের প্রতীমা বিসর্জন পরিদর্শন করেন এ সময় বিজিবির অন্যান্য অফিসার ও সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময সেক্টর কমান্ডার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সদস্য ও অন্যান্য গন্যমান্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং পূজা উদযাপনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পূজা উৎসব পালন করতে পারে সে জন্য গত ০৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ১৪টি বিওপিতে অতিরিক্ত ০৮ প্লাটুন জনবল মোতায়েন করে।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার জানান, সীমান্তের ০৮ কিঃ মিঃ এর মধ্যে সকল পূজামন্ডপে বিজিবি কর্তৃক প্রতিনিয়ত দিবারাত্রি টহল পরিচালনা করা হয় এবং পূজামন্ডপ সমূহের সভাপতি ও সহ—সভাপতিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ফলে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ব্যতিরেকে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে ।