যমজ নয়, তারপরও দেখতে একই চেহারার আরেকটা মানুষ কীভাবে এলো। আপনি হয়তো নিশ্চয়ই শুনেছেন এই দুনিয়ায় একই রকম দেখতে ৭ জন মানুষ আছে।
কিন্তু এটা কি আদৌ সম্ভব? গবেষণার কি বলছে একই চেহারার দু’জন মানুষ অবশ্যই হয়। এদের বলা হয় ডোপেলগ্যাঙ্গার। এই ধরনের মানুষের মধ্যে কোনো জৈবিক সম্পর্ক থাকে না। কিন্তু তবুও তাদের দেখতে এতটাই একরকম হয় যে, মনে হয় যেন যমজ।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একরকম দেখতে দু’জন মানুষের সংখ্যা প্রতি ট্রিলিয়নে একজনেরও কম। অর্থাৎ প্রতি ট্রিলিয়নে একজনেরও কম মানুষের ডোপেলগ্যাঙ্গার থাকতে পারে।
পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষের বাস। একজন মানুষকে কেমন দেখতে হবে? তা নির্ভর করে বাবা-মার ডিএনএ, জিন, ক্রোমোজোমের উপর। প্রতিটি মানুষের মধ্যে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। প্রতিটি ক্রোমোজোম ২টি ভাগে বিভক্ত।
প্রতি জোড়া ক্রোমোজোম নিজেদের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে নতুন ক্রোমোজোম তৈরি করে। এই জেনেটিক ক্রসিং ওভারের জন্য মানুষের চেহারা ও আচরণ একে অপরের থেকে আলাদা হয়। তাই এই পৃথিবীতে একই চেহারার ৭ জন মানুষ থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই ব্যাপারটি প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের। যেমন- শাহরুখ খান, সালমান খানের মুখাবয়বের কাছাকাছি দেখতে অখ্যাত তরুণদের ছবি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে স্নেহা উল্লাল কিংবা ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে জেরিন খানের মুখের সাদৃশ্যও খুঁজে পান অনেকে।
সূত্র: স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন