সংবাদ শিরোনাম :
দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের বিছানা শ্রীমঙ্গলে কৃষকদলের মহা সমাবেশ কোন আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই পালিত হবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস শ্রীমঙ্গলে ২দিন ব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন সিলেটজুড়ে একাধিকচক্র মেতে উঠেছে মামলা-বাণিজ্যে হয়রানীর শিকার নিরীহ-অসহায় মানুষ তারেক জিয়ার পিপিই বিতরন করায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্পাদককে বহিষ্কার, ৫ বছর পর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা শ্রীমঙ্গলে মাদকের আস্তানা থেকে নগদ টাকা ও মাদকসহ আটক ৩ মৌলভীবাজারে এডাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে আটক ৩ চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা হাজী মুজিব মৌলভীবাজার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা, বিভিন্ন উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
টিলা পরিচ্ছন্নতার নামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন

টিলা পরিচ্ছন্নতার নামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন

 

এম,এ রউফ সিলেট:অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন করা করা হয়েছে। টিলা পরিচ্ছন্নতার নামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলো, শহীদ মিনার ও অডিটরিয়াম এলাকার টিলা থেকে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কৌশলে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গাছগুলো অপ্রয়োজনীয়, এসব জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের নামে আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা গাছগুলো কেটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছুটিতে থাকার সুযোগে কৌশলে এসব গাছ কাটা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গাছ কাটার খবর পেয়েছেন। তিনি প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় অবস্থানের কারণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার ব্যাপারে কোনো অনুমতি নেয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখার ভাষ্য, গাছের ডালপালাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে ছোট-বড় কিছু গাছ ভুল করে কাটা হয়েছে। কাটা গাছগুলো আসবাব তৈরিতে ব্যবহারের উপযোগী নয়। গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবে গজানো। কেটে ফেলা গাছগুলোর স্থানে নতুন করে বনজ ও ফলদ গাছ লাগানোর কথা আছে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আশফাক আহমেদ বলেন, কাটা গাছগুলো আগাছা ধরনের। গাছগুলো লাগানো হয়নি। আপনা-আপনি হয়েছে। কাটা গাছগুলোর স্থানে ফলদ ও বনজ গাছ লাগানোর জন্য এরই মধ্যে ২০০টি গাছ রাখা হয়েছে। আরো গাছ লাগানো হবে। তিনি আরো বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও বন্য প্রাণীদের ব্যাপারে সচেতন। অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা নিয়ে কিছু মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ সিলেট ভূমি ২৪