মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি সিএনজি অটোরিকাসা চুরির ঘটনায় জড়ানোর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দুই শ্রমিক নেতা। শ্রমিক নেতারা হলেন মেকানিক শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৩৬ শ্রীমঙ্গল শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল্লাহ মিয়া ও শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন হবিগঞ্জ রোড গ্রুপ কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কায়ূম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে দুটি শ্রমিক সংঘঠনের দুই নেতা সিএনজি চুরির ঘটনায় তাদের তাদের নামে মিথ্যে প্রচারণায় তিব্র প্রতিবাদ জানান। এসময় মেকানিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মো. আব্দুল্লাহ মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২১ অক্টোবর উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের মৃত রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি বেগম শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বলেছেন, আমি নাকি তার সিএনজি গাড়ি উদ্ধারের জন্য বাহুবলে যাবার কথা বলে খরচা বাবৎ ১০ হাজার টাকা নিয়েছি। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো লাইলি বেগমের সিএনজি চুরির ৫/৬ মাস পরে আমি মরহুম শ্রমিক নেতা আব্দুস ছালাম, সালাউদ্দিন তুর্কি ও আব্দুল কায়ূম এর মাধ্যমে জানতে পারি। আমার পৈত্রিক বাড়ী বাহুবলে হওয়াতে তারা আমাকে সিএনজিটি বাহুবল থেকে উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা করতে বলেন। পরে আমি আমার পৈত্রিক বাড়ী বাহুবলের মুরব্বীদের নিয়ে সিএনজিটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। তিনি বলেন, আমি শুধু মহিলার অসহায়ত্ব দেখে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা করি। এ বাবৎ আমি কোন টাকা পয়সা নেইনি। এবং আমাকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়ায় আমি তার প্রতিবাদ করছি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি হবিগঞ্জ রোড গ্রুপ কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কায়ূম সাংবাদিকদের তার লিখিত বক্তব্যে জানান, চুরি হওয়া সিএনজির মালিক লাইলি বেগম আমাকেও এ ঘটনার সাথে জড়িয়েছেন। এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সিএনজিটি উদ্ধারের জন্য সালাউদ্দিন তুর্কি, আব্দুল্লাহ মিয়া ও আমাকে টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রকৃত সত্য হল আমি মহিলার অসহায়ত্ব দেখে সিএনজিটি উদ্ধার করতে সালাউদ্দিন তুর্কি ও শাকিলসহ বাহুবলের মিরপুর বাজারে যাই। সেখানে গেলে সিএনজি উদ্ধারের জন্য ৩জন লোকের সাথে তাদের কথাবার্তা হয়। তাদের কাউকেই আমি ছিনি না। এক পর্যায়ে গাড়ি উদ্ধারের জন্য টাকা দেওয়া হয়। টাকা নিলেও সিএনজি ফেরত পাওয়া যায়নি। পরে আমরা শ্রীমঙ্গলে ফিরে আসি। এরপর সিএনজিটি উদ্ধার করতে শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন তুর্কি, আকবর, রওশন, দুলাল মিয়া ও আব্দুল্লাহ মিয়াসহ আমরা বেশ কয়েকবার বাহুবলের মিরপুরে যাই। কিন্তু সিএনজিটি উদ্ধার করতে আমরা ব্যর্থ হই। দুঃখজনক হল এ ঘটনায় আমাকে শ্রীমঙ্গলের বিশিষ্ট মুরব্বী ইউছুব আলী ও আছকির মিয়ার শালিসী বৈঠকেও সম্মুখীন হতে হয়। এতে আমার সম্মান ক্ষুন্ন হয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় আমি তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জাচ্ছি।