এ এ রানা::
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রমরমা দেহব্যবসা চললেও দেখার কেউ নেই। শুধু তাইনা এই অসামাজিক ব্যবসার আড়ালে চলে মাদক সেবন, বিক্রি ও রাতভর জুয়ার আসর।
অভিযোগ রয়েছে-প্রভাবশালী মহল ও কতিপয় অসাধু পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আবাসিক হোটেলগুলোতে চলে এসব কর্মকাণ্ড । মাঝে-মধ্যে এসব হোটেলে অভিযান চালানো হলেও থামে না অপরাধমূলক কার্যকলাপ।
স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,অনেক দিন ধরে এসব হোটেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোরীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী অপরাধী চক্র। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মালিক ও ম্যানেজাররা এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। মাঝে মধ্যে অভিযান হলে ম্যানেজার আটক হলেও মালিক কখনই আটক হয় না। ফলে বন্ধ হয় না অসামাজিক কার্যকলাপ।
এছাড়াও পতিতাবৃত্তির পাশাপাশি এসব হোটেলে সারারাত ধরে চলে জুয়ার আসর।এলাকার স্থানীয় সূত্র জানায়,এসব হোটেলের ম্যানেজারের কাছে রয়েছে একটি বিশেষ কলিং বেল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই ম্যানেজার সেই বেল টিপে জুয়াড়িদের সতর্ক করে দেন এবং জুয়াড়ি ও খদ্দেররা সটকে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার, চাঁদনি ঘাটে হোটেল আল তাকদীর, কদমতলীর হোটেল তিতাস,হোটেল প্রবাস,হোটেল মার্টিন,হোটেল কয়েছ, হোটেল আল আকিহোটেল রুচি,হোটেল যাত্রী সেবা,হোটেল আকাশ,পুরাতন রেল স্টেশন রোডের নিউ বিরতি,হোটেল পদ্মা,হোটেল মেঘনা, চলছে এসব অবৈধ কার্যকলাপ।
এছাড়াও দক্ষিণ সুরমার ২৬ নং ওয়ার্ডের কুমিল্লাপট্টি , কদমতলী , বালুরমাট, পুরাতন রেলস্টেশন কলোনীসহ আরোও বিভিন্ন কলোনি এবং বাসায় অবাধে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। মেতরপট্টিতে মাদক ব্যবসায়ী মজনু-রহিমার নেতৃত্বে চলে অসামাজিক কাজ। জিঞ্জিশাহ্ মাজার সংলগ্ন বাশপালা মার্কেটের পিছনে জুয়ারী আবুল কাশেমের সুরমা মহলে জুয়া-মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চলে অসামাজিক কাজ। যেখান থেকে গত ২৬জুন চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশ।
বালুরমাটে জুয়ারী বাচনের নেতৃত্বে জুয়ার পাশাপাশি মাদক সেবন,বিক্রি ও কলোনীতে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।
কোকনের মাছের দোকানের উপরে বাবনা হোটেলের উপরে শিপন ও আছকরের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাত ১১ টার পর থেকে ফজর পর্যন্ত জুয়া চলে।
দক্ষিন সুরমার সচেতন মহল এসব অপরাধীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নিতে ২০১৮ইং সালের ৯ জানুয়ারী সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি দেন।